অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকার বা ক্ষমতাসীন দলকে ভয় পায় না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেট ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান টেরি এল ইসলে। বাংলাদেশি সংস্থা ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) আমন্ত্রণে একটি পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে তিনি বাংলাদেশ সফর করছেন।
টেরি এল ইসলে বলেছেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে গাইবান্ধায় একটি ঘটনায় নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সরকার জোরালোভাবে এর বিরোধিতা করেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সরকার ও ক্ষমতাসীন দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এবং তারা বিজয়ী হয়েছে।
রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠক করে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পর্যবেক্ষক দলের অন্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আয়ারল্যান্ডের সিনিয়র সাংবাদিক নিক পউল, জাপানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী ইউসুকি সুগু এবং চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী এনডি লিন।
টেরি এল ইসলে বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকার কিংবা ক্ষমতাসীন দলকে ভয় পায় না। সরকারি দলের বিরোধিতার পরও বেশ কয়েকটি ঘটনায় তারা বিজয়ী হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেট ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের চেয়ারম্যান টেরি এল ইসলে বলেন, আমরা মনে করি অতীতের মতোই সরকারি যে কোনো পদক্ষেপ সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। আমি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান থেকে আমরা এসেছি। এই তিন দেশই বাংলাদেশের বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী। কাজেই বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাতে আমাদেরও স্বার্থ রয়েছে। আমরা সবাইকে নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করছি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আমাদের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছে। কিন্তু দলটির সদস্যদের সঙ্গে আমাদের বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আমাদের আভাস দিয়েছে। সরকারি দলের প্রতিনিধি বলেছেন, তারাও বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করছেন। তারা মনে করেন, সরকার ও পার্লামেন্টে দলটি তার বৈধ ভূমিকা রাখতে পারে। বিএনপি যদি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না-ও করে, তবে দলটির অনেক সদস্য বলেছেন, তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন।
বিএনপির সেই সদস্য কারা, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি তাদের নাম বলতে পারবো না। আমরা গোপনীয়ভাবে অনেক কিছু করি, যা আপনারা বুঝতে পারবেন না। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর সংবিধান অনুসারে পুলিশ বিভাগসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সব বিভাগের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। যে কারণে ক্ষমতাসীন সরকার কোনো পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্তও করতে পারবে না, পদায়নও করতে পারবে না।
Leave a Reply